২৯ বছর পর সালমান শাহর হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২০ অক্টোবর এ আদেশের পরদিন সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সামিরা হককে প্রথম ও খলনায়ক ডনকে চতুর্থ আসামি করা হয়। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছে না সামিরা ও ডনের।
এর আগে বিভিন্ন সময় ঢাকা মেইলের প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও, মামলার পর থেকে সামিরার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপেও তার কোনো সাড়া নেই। একইভাবে ডনের ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
মামলায় সামিরা ও ডন ছাড়াও আরও ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আব্দুল ছাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ফরহাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে রমনা থানা থেকে সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তাই কোনো আসামি যেন দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটন এলাকার বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অভিনেতা সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে ‘অপমৃত্যু মামলা’ হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মত দেয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস ও ব্যক্তিত্বে তিনি অল্প সময়েই তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার অধিকাংশই সুপারহিট ছিল।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৮







