Friday, December 5, 2025

খুলনায় গত দেড় মাসে ১৪ হত্যাকাণ্ড, অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার ৮

গত দেড় মাসে খুলনা মহানগর ও জেলায় ১৪ টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রহস্যজনক মৃত্যুর পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৮ জনের। এছাড়া গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশের দাবি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।

পুলিশের তথ্যমতে, গত দেড় মাসে খুলনা মহানগর ও জেলায় ১৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রহস্যজনক মৃত্যুর পর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে আরও ৮ জনের। এছাড়া গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক কোন্দল, কিংবা পারিবারিক বিরোধে ঘটছে এমন নৃশংসতা। মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা সন্তানকে জানালার বাইরে থেকে গুলি করে হত্যা, এমনকি ছেলের হাতে বাবা নিহতের ঘটনাও ঘটছে এ নগরে।

থানাগুলোর পরিসংখ্যান বলছে, ১৪টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ৭টিতে ১৮ জন আসামি গ্রেফতার হলেও বাকিদের আনা যায়নি আইনের আওতায়। কয়েকটি হত্যার রহস্য উদঘাটনও সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন,সন্ত্রাসীদের দমনে প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন,দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে পুলিশ যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারের পাশাপাশি মানুষের মানসিকতায়ও সংস্কার প্রয়োজন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা বলেন,বিভিন্ন সময় যে মৃত্যুর খবর আসছে এটি সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে এক শ্রেণির মানুষ অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। শুধু পুলিশের দায় দিয়ে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সচেষ্ট হতে হবে। একই সঙ্গে অপরাধীদের চাইতে বেশি চৌকস হওয়ার পরামর্শ তার।

যদিও পুলিশের দাবি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।

এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান বলেন, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
রাতদিন ডেস্ক/জয়-
আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর