Friday, December 5, 2025

বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ

মাসুদুর রহমান শেখ, বেনাপোল: সরকারের ঘোষিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৩০ নভেম্বর ছিল চাল আমদানির সর্বশেষ দিন। চার মাসে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোলে মোট ১৮ হাজার ১১ টন চাল আমদানি হয়েছে।

দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সব বন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তার অংশ হিসেবে চার মাস স্থগিত থাকার পর গত ২১ আগস্ট বেনাপোল দিয়ে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। আগস্টে ১,২৬০ টন, সেপ্টেম্বরে ৫,৪৩৫ টন, অক্টোবরে ৫,১৮৮ টন এবং নভেম্বর মাসে ৬,১২৮ টন চাল আসে। এসব চালের খালাসকাজ বন্দর এলাকার ৩১ নম্বর শেডে চার-পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সম্পন্ন করে।

বেনাপোল বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা স্বপন জানান, ভারতীয় চাল আসার পর বাজারে সব ধরনের চালের দাম ৩–৪ টাকা কমেছে। নতুন ধান বাজারে উঠলে দাম আরও কমবে বলে তিনি মনে করেন।

শার্শা উপজেলার বাজারগুলোতে আমদানিকৃত ভারতীয় স্বর্ণা-৫ চাল ৪৮–৫০ টাকা এবং শম্পা জাতের চাল ৬৬–৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় নতুন স্বর্ণা জাতের চাল পাওয়া যাচ্ছে ৪৭–৪৮ টাকায়। এখনো আমনের নতুন চাল পুরোপুরি বাজারে না আসায় সরবরাহ কিছুটা সীমিত।

সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন জানান, আমদানি শুরুর পর থেকেই ছাড়ের কাজ অব্যাহত রয়েছে এবং বেশিরভাগ চাল ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ছাড় করা হয়েছে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, আগস্টে আমদানির চাপ বেশি থাকলেও পরে তা কমে যায়; তবে সময়সীমার শেষ দিকে পুনরায় আমদানি বেড়ে যায়। বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়ায় দেশের চালের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের পর দীর্ঘ বিরতির পর ২১ আগস্ট চাল আমদানি শুরু হয়। ১০০ দিনের মধ্যে ৫৫ দিনে মোট ১৮ হাজার ১১ টন চাল এসেছে। এখন কৃষকেরা আমন ধান কাটছেন—এ ধান বাজারে উঠলে ঘাটতি কমবে এবং দামও হ্রাস পাবে।

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ৩ মাস ১০ দিনে ১৫৫টি চালানে ৫৮০টি ট্রাকে করে এসব চাল এসেছে। মাত্র শেষ দিনেই আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ১২৮ টন। নতুন করে সময় বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর