রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের ওই ছাত্রীকে তার নিজ বাসা রাজধানীর বংশালে নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে আটক করা হয়। তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন জুবায়েদ। এ ছাড়া বাড়ির বাকি সদস্যদেরও কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইতোমধ্যে আমরা দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকের জন্য আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আটক করতে সক্ষম হব। এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
টিউশনি করতে যাওয়ার পথে হত্যার শিকার হওয়া জুবায়েদের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য
রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।এদিকে প্রতিবেদকের হাতে আসা সিসিটিভির ফুটেজে, বিকাল ৪টা ৩৯ মিনিটে বংশালের নূরবক্স রোড এলাকায় কালো টি-শার্ট ও পিঠে কালো ব্যাগ নিয়ে দুই যুবককে দৌড়ে বংশাল রোডের দিকে যেতে দেখা গেছে। পুলিশের ধারণা, তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে টিউশনির বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় জুবায়েদকে। এর দেড় ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসে ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাসা ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে।
এদিকে সহপাঠীকে হত্যার খবরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর রাত ১০টা দিকে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেন। সেখানে ৪০ মিনিট মিনিট অবস্থানের পর বংশাল থানার সামনে আসেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। পরে রাত ১টার দিকে থানার সামনে থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।