মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী বিধৌত দ্বীপ জেলা ভোলার ঐতিহ্যবাহী পরিকল্পিত জনপদ চরফ্যাশনে ধারণ করা হয়েছে এবারের ইত্যাদির পর্ব। ব্রিটিশ আমলে তৈরি প্রায় শত বছর প্রাচীন ঐতিহাসিক ট্যাফনাল ব্যারেট স্কুলের সামনে তৈরি করা হয় মঞ্চ। আর এই অনুষ্ঠান ধারণ উপলক্ষে পুরো ভোলাজুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ।
এবারের অনুষ্ঠানে গান রয়েছে দুটি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভোলা জেলাকে নিয়ে রয়েছে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছে এস কে জাহিদ, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ও তানজিনা রুমা। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজন করেছেন মেহেদী।
আর একটি গান গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী ও আঁখি আলমগীর। ‘আমাকে না বলে’ শিরোনামে গানটির সুর ও সংগীত করেছেন শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী ইমরান মাহমুদুল, লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন।
দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান ভোলাকে ঘিরে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৩ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকরা এই পর্বের অতিথি ভোলা জেলারই সন্তান জনপ্রিয় তারকা তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে অভিনয় করেন।
এ ছাড়া এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে পর পর দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা প্রথম ও একমাত্র বাঙালি ভোলার সন্তান এম এ মুহিতের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার।
এবারের ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন— দিলারা জামান, সোলায়মান খোকা, আব্দুল আজিজ, সুভাশিষ ভৌমিক, আরফান আহমেদ, আমিন আজাদ, মুকিত জাকারিয়া, রকি খান, জিল্লুর রহমান, শাহেদ আলী, আশরাফুল আলম সোহাগ, জাহিদ শিকদার, জামিল হোসেন, নিপু, সুজাত শিমুল, কামাল বায়েজিদ, নজরুল ইসলাম, সাবরিনা নিসা, রাজীব সালেহীন, শুভরাজ, সুবর্ণা মজুমদার, সূচনা শিকদার, আনোয়ারুল আলম সজল, বেলাল আহমেদ মুরাদসহ আরো অনেকে। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম।
ইত্যাদির এই পর্বটি আজ ২৯ আগস্ট, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।
নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।







