মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-৫ (মনিরামপুর) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে দুই দলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পৃথক স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন তার স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল যশোর-৬ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবে মনিরামপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন—ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া, দূর্বাডাঙ্গা, নেহালপুর ও মনোহরপুর—এবং কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি, পাজিয়া ও গৌরিঘোনা ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভবদহ সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা হলেও সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব নয়। প্রস্তাবিত সীমানা পরিবর্তন হলে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হবে এবং মনিরামপুরবাসী চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনিরামপুর উপজেলা আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক তার স্মারকলিপিতে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তার ভাষায়, ‘সুকৃতি কুমার মণ্ডল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মনিরামপুরের হিন্দু অধ্যুষিত ছয়টি ইউনিয়নকে আলাদা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা। যশোরের কোনো স্বীকৃত রাজনৈতিক দল এমন প্রস্তাব দেয়নি; একজন ব্যক্তির হীন স্বার্থে করা এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।’
দুই দলই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, যশোর-৫ (মনিরামপুর) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের বর্তমান সীমানা অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য। মনিরামপুর উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ইউএনও নিশাত তামান্নার কাছে পৃথক পৃথক স্মারকলিপি জমা দেন।






