যশোরের চাঁচড়া এলাকার আসমা নামের এক নারীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী এমন অভিযোগ উঠেছে। তিনি যার-তার নামে মামলা করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন আসমা। অভিযোগ রয়েছে, গত তিন মাসে এলাকার সাধারণ মানুষের নামে তিনি আদালতে দুটি মামলা করেছেন। এছাড়া কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনটি এবং আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার সামনে হাজির হয়ে মামলার কাগজ হাতে ধরে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
চাঁচড়ার মল্লিকপাড়ার রেজাউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে আছমা আক্তারের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তিনি রেজাউলসহ মিন্টু, আরমান মল্লিক, রেখা বেগম, ইসরাফিল মল্লিক, নার্গিস বেগম, জান্নাতুল, ইয়াসিন, তানিয়া খাতুনসহ একাধিক মানুষের নামে কখনো ডাকাতি, কখনো শ্লীলতাহানি, কখনো চুরি, আবার কখনো মারপিটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা বা থানায় অভিযোগ দিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যে পিবিআই একটি ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টার মামলা তদন্ত করে এর সত্যতা পায়নি। এছাড়া আদালত আরও দুটি মামলা খারিজ করেছে। তবুও তিনি নানা অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি একটি স্ট্যাম্পে রেজাউলের জাল স্বাক্ষর করে আট লাখ টাকা দাবি করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করেন রেজাউল। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার ওই অভিযোগে থানায় ডাকা হয়েছিলো। বিষয়টি থানাকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ধর্ষণ মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রেজাউল।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষকেই ডাকা হয়েছিলো। তাদের এ বিষয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাল্টা অভিযোগ করেন আসমা আক্তার। তিনি বলেন, রেজাউলসহ অন্যরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করেছে। আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। ওই টাকা না দেওয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আসমা।






