সবসময়ই পর্দার মানুষ ছিলেন বাপ্পারাজ। পর্দার বাইরের আলোচনায় খুব একটা আসেননি তিনি। ব্যক্তিজীবনে থেকেছেন নীরবে, লোকচক্ষুর আড়ালে। সেই ধারাবাহিকতায় ক্যারিয়ারজুড়েও ছিলেন সংবাদের বাইরেই।
অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক শিল্পী রাজনীতিতে যুক্ত হলেও বাপ্পারাজ ছিলেন ব্যতিক্রম। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি তিনি। ভবিষ্যতেও রাজনীতিতে জড়াতে চান না।
বাপ্পারাজ মনে করেন, শিল্পীদের রাজনীতি না করাই ভালো। তার ভাষায়, “শিল্পীদের রাজনীতি করা উচিত না। যদি করতেই হয়, তাহলে অভিনয় ক্যারিয়ার থেকে অবসর নিয়ে করা যেতে পারে। কারণ, দুই পেশা একসঙ্গে চালালে সুযোগ নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যের তোষামোদ করতে হয়; যেমনটা ইদানীং দেখা যাচ্ছে। অনেকেই সুযোগ নিতে গিয়ে বিপদে পড়েছে।”
নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কখনো রাজনীতি করিনি, এখনো করি না, ভবিষ্যতেও করব না। আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি—দুই দলের অনুষ্ঠানেই দাওয়াতে গেছি, ছবি তুলেছি। কিন্তু কারো তোষামোদ করিনি, সুযোগও নিইনি। শুধু পেশাগত কাজটাই করে গেছি।”
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক কারণে কিছু শিল্পী হেনস্তার শিকার হলেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাপ্পারাজও সমালোচনা করেছেন সংগঠনটির ভূমিকার।
তিনি বলেন, “কিছু লোক যুক্ত হওয়ার পর সংগঠনটি দলের চাটুকার হয়ে গেছে। মনে হয়েছে, তারা শিল্পীদের সংগঠন নয়, বরং রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র। বাইরের লোকদের এনে মালা পরানো, ছবি তোলার আয়োজন—এসব আমাদের কাজ নয়। এটা হয়ে গেছে স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না।”
অনলাইন ডেস্ক







