গত সপ্তাহে দুবাই থেকে বেঙ্গালুরুতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন অভিনেত্রী রান্যা রাও। এরপর তার বাড়িতে অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু পুলিশ, যেখানে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে—অভিনেত্রীর ঘরে উদ্ধার হয় কোটি কোটি রুপির সোনা।
গ্রেফতারের পর থেকে রান্যা রাওকে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর হেফাজতে রাখা হয়েছে, এবং সেখানে গোয়েন্দারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অভিনেত্রী ইউটিউবে ভিডিও দেখে সোনা পাচারের কৌশল শিখেছেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সোনার বারগুলি দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল, এবং সেগুলি নিয়ে তিনি বিমানবন্দরের বাথরুমে গিয়ে নিজের শরীরে বেঁধে নেন। বাকি কয়েকটি বার তিনি জুতোর মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।
অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, ১ মার্চ একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন পান, যেখানে তাকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নাম্বার টার্মিনাল গেটে যেতে বলা হয়। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর নির্দেশনা ছিল। এটাই ছিল তার প্রথমবার দুবাই থেকে সোনা পাচার করার ঘটনা, বলছেন তিনি।
কিন্তু, কে তাকে ফোন করে সোনা পাচারের নির্দেশ দিয়েছিল, তা তিনি জানেন না। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না কে আমাকে ফোন করেছিলেন। যিনি বিমানবন্দরে সোনা দিয়ে গিয়েছিলেন, তার উচ্চতা ছিল ছয় ফুটের কাছাকাছি। অতীতে তাকে আমি কোনো দিন দেখিনি।”
২০১৪ সালে ‘মানিক্য’ সিনেমায় কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেন রান্যা রাও। পরে তিনি আরও কয়েকটি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক







