নীল আলোয় মঞ্চের পর্দা উঠছে, দর্শকদের চোখে উত্তেজনা। সেই মঞ্চ থেকেই একদিন উঠে এসেছিলেন শাহরুখ খান। তখনও তিনি বলিউডের ‘কিং খান’ হননি।
স্টারকিড না হয়েও বলিউডের ‘বাদশাহ’ হয়ে ওঠার পথটা সহজ ছিল না তার জন্য। কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতার মধ্য দিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। আর সেই সংগ্রামের এক অজানা অধ্যায় সামনে আনলেন কিং খানের থিয়েটার-সহকর্মী দীপিকা দেশপান্ডে।
ব্যারি জোনসের থিয়েটার গ্রুপে কাজ করার সময় শাহরুখ ছিলেন একেবারেই সাধারণ— আন্তরিক, বন্ধুবৎসল এবং সহযোগিতাপ্রবণ। তখন তার ছিল একটি ছোট মারুতি গাড়ি। থিয়েটারের রিহার্সাল শেষ হতে প্রায়ই রাত হয়ে যেত। মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শাহরুখ নিজেই গাড়িতে সবাইকে তুলে একে একে বাড়ি পৌঁছে দিতেন।
দীপিকার কথায়, ‘মনে হত যেন একটা মালবাহী গাড়ি! সবাইকে একসঙ্গে তুলতেন, আর আমরা সবাই মিলে হাসি-আনন্দ করতে করতে বাড়ি ফিরতাম।’
শুধু ভালো সহকর্মীই নয়, শাহরুখ ছিলেন দারুণ বন্ধু। রাত যতই হোক, প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতেন তিনি। দীপিকার মতে, আজও তার সেই আন্তরিকতা ও উষ্ণতায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
শাহরুখের সঙ্গে পর্দাতেও কাজ করেছেন দীপিকা। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্যান’ ছবিতে শাহরুখের ‘ফ্যান’ চরিত্রটির মায়ের ভূমিকায় দেখা যায় তাকে।
সমবয়সী হওয়া সত্ত্বেও এই চরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন দীপিকা। তবে পরিচালক জানান, প্রস্থেটিক ও বিশেষ ভিজ্যুয়াল এফেক্টের মাধ্যমে শাহরুখকে ছবিতে তরুণ দেখানো হবে।
শাহরুখের জীবনের এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলিই তাকে ‘বাদশাহ’ হয়ে ওঠার ভিত গড়ে দিয়েছে। আর সেই মানুষটি আজও রয়ে গেছেন আগের মতোই— বিনয়ী, দয়ালু ও সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো এক প্রকৃত নায়ক।
অনলাইন ডেস্ক