বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ। রোববার ভোরে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে এক যুবককে আটক করা হয়। মুম্বাইয়ের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে ঢোকার পর অভিযুক্ত নিজের নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস হিসেবে পরিচয় দেন। পুলিশের মতে, ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করেছেন এবং ভুয়া নথি ব্যবহার করে মুম্বাইয়ে একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা দীক্ষিত গেদামের মতে, অভিযুক্ত কয়েক মাস আগে মুম্বাইয়ে আসেন। তিনি জানান, শেহজাদের কাছ থেকে ভুয়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনো বৈধ প্রমাণ নেই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শেহজাদ পুলিশকে জানান, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাইফ আলি খানের বাড়িতে চুরি করা। তবে চুরির সময় হঠাৎ সাইফের সামনে পড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপর আতঙ্কিত হয়ে তিনি ছুরি দিয়ে অভিনেতার ওপর হামলা চালান এবং দ্রুত পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্তের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তবে তিনি কীভাবে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলেন এবং কীভাবে মুম্বাইয়ে স্থায়ী হলেন, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
হামলার পর অভিনেতা সাইফ আলি খান নিজের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে দ্রুত তার ছোট সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। মুম্বাইয়ের ‘সতগুরু শরণ’ ভবনের ১২ তলায় স্ত্রী কারিনা কাপুর ও দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহ-সহ থাকেন সাইফ।
ঘটনার পর মুম্বাই পুলিশ সাইফ আলি খান এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৪







