নীল রঙের বেদনা ও স্মৃতির প্রতীক
পশ্চিমা দেশে নীল রঙকে বেদনার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পথের ধারে ফুটে থাকা নীল রঙের ছোট্ট ঘাসফুল মায়োসটিসও তাই বেদনার প্রতীক। মনোযাতনার অনুভূতির সমার্থক হয়ে ওঠা এই নীল ফুলটির আরেক নাম ফরগেট মি নট বা ভুলে না আমায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বীর যোদ্ধাদের স্মরণে
১৯২১ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর যোদ্ধাদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রে ফরগেট মি নট ডে উদযাপনের শুরু হয়। বিচারক রবার্ট এস. মার্কসের উদ্যোগে এই দিনটি উদযাপন শুরু হয়। তিনি নিজেও ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন বীর যোদ্ধা। যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, হারিয়েছেন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, তাদের স্মরণে এ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।
যুদ্ধাহত বীরদের জন্য অর্থ সংগ্রহ
যুদ্ধাহত বীরদের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্যও ফরগেট মি নট ডে উদযাপিত হয়। বিচারক রবার্ট এস. মার্কস সিদ্ধান্ত নেন সেই নীল রঙা ঘাসফুল বা ফরগেট মি নট ফুল বিক্রি করে অর্থাভাবে থাকা প্রবীণ যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াবেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৯৪৯ সালে ফরগেট মি নট ফুলটিকে রাজ্য ফুল -এর স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা।
উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও নীল ফুলের গুরুত্ব অপরিবর্তিত
দেশ ভেদে ফরগেট মি নট ডে উদযাপনের তারিখ ও উদ্দেশ্যের ভিন্নতা আছে। নিউজিল্যান্ডে আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণ করা হয় দিনটিতে। ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরে সরে যাওয়া কিংবা ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া দিতেও দিনটিকে বেছে নেন অনেকে।
নীল রঙা ফুলের গুরুত্ব
যে উদ্দেশ্যেই দিনটি উদযাপন করা হোক না কেন, নীল রঙা ফুলের কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না! কারণ, ওই ঘাসফুলের তোড়া জানিয়ে দেয়, আপনাকে কেউ স্মরণ করছেন, কেউ একজন আছেন, যিনি আপনাকে এখনও ভাবেন। যিনি কোনোদিন চান না, আপনিও তাকে ভুলে যান।







