যশোর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে গলার কলার ধরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারসহ কর্তব্যরত কর্মীদের বিরুদ্ধে। যার নেপথ্যে রয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জোবায়ের আহম্মেদ। শুধু তাই নয়, দরজা আটকে দিয়ে এক নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও উঠেছে হাসপাতালের
জরুরি বিভাগে কর্মরতদের বিরুদ্ধে। যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা নাহিদ–নিলিমা দম্পতির শিশু সন্তানের গলায় কাটা বাঁধার চিকিৎসা নিতে এসে তারা এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
‘গলায় কাটা দেখতে হলে লাইট কিনে আনতে হবে’—এমন মন্তব্যের জের ধরেই রোববার রাত ১০টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এক পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা না নিয়েই স্বজনরা ফিরে যান এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাহিদ ও তার স্ত্রী নিলিমা জানান, শিশুর গলার সমস্যার কারণে তারা হাসপাতালে যান। ডাক্তারকে ডাকলে তিনি এসে দেখে চলে যান। কিছুক্ষণ পর নিলিমার শ্বশুর ডাক্তারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, লাইট নেই। তখন তারা বলেন—‘লাইট কি তাহলে আমরা কিনে আনবো?’—এমন প্রশ্ন করতেই ডাক্তার ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে বলেন, “চলে যান, আপনাদের রোগী দেখা হবে না।” এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নাহিদের গলার কলার ধরে বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় এবং তাদের লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।

তবে এসব অভিযোগ রাতদিন নিউজের কাছে অস্বীকার করেছেন ডা. জোবায়ের আহম্মেদ। তার দাবি, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র তাদের কাছে ছিল না—এ কথা বলতেই নাহিদ অভিযোগ করেন যে ডাক্তার তার বাবার কলার ধরেছেন। মূলত কলার ধরা হয়নি এমনকি লাঞ্চিতও করা হয়নি , অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। উল্টো নাহিদ ও তার লোকজনই খারাপ ব্যবহার করেছে, দাবি করেন তিনি।
পল্লব দাস







