Monday, May 6, 2024

অভয়নগরে মুরাদ হত্যার ঘটনায় ১০ জনের নামে মামলা কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি

- Advertisement -

বিশেষ প্রতিনিধি- অভয়নগরে এবিএম মুরাদ হোসেন(৩০) হত্যার ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৪ থেকে ৫ জন অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাতে নিহতের বড় বোন লিলি বেগম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে নিহতের বোন লিলি বেগম বাদি হয়ে থানায় ১০ জানের নামে ও আরো অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন উল্লেখ করে এজাহার করেন। তার এজাহার মোতাবেক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। নিহত মুরাদ হোসেনের পিতা সহাবুল ইসলাম সাবু বলেন, তার ছেলেকে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছে এদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেছেন।  ঘটনার মোটিভ উদঘাটন পূর্বক প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশ  বুরো অব ইভেস্টিগেশন(পিবিআই) এর ইন্সিপেক্টর শেখ মোনায়েম ও সাব ইন্সিপেক্টর মিজানুর রহমান জানান তারা মামলার মোটিভ উদঘাটনের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন।

প্রকৃত আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত মোটিভ উদঘাটন করা সম্ভাব নয় বলে তারা জানান। তারা আশা করছেন দ্রুত মোটিভ উদঘাটন ও আসামী গেফতার করা সম্ভব হবে। নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এবিএম মুরাদ হোসেনকে রোববার রাতে বাড়ির কাছাকাছি ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত, ডান পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ও পেটে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে নাড়ী ভুড়ি বের করে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসি এসে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় বুইকরা সরকারি গোরস্তানে দাফন করা হয়।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত