Monday, May 6, 2024

আলমডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

- Advertisement -

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের কুঠিপাইকপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গৃহবধূর নাম শামীমা খাতুন (২৭)। তিনি আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের মো. তান্নু মুন্সির মেয়ে। শামীমা কুঠিপাইকপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী শাহাবুল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী।

জানা গেছে, গত ৩০ জুন শামীমার সঙ্গে শাহাবুলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শামীমা জানতে পারেন, শাহাবুলের আগে একজন স্ত্রী ছিল। তিন বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদ হয়। মা-বাবার কষ্টের কথা ভেবে শামীমা নিজেকে মানিয়ে নেন। বাবার অসুস্থতার কারণে বিয়ের পর বেশির ভাগ সময়ই ছিলেন ডাউকি গ্রামে। তবে মাঝেমধ্যে যখন শ্বশুরবাড়ি যেতেন, তখনই তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। ঘটনার ১০ দিন আগে শামীমা শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে চার দিন থাকার পর নির্যাতনের কারণে ফিরে আসেন বাবার বাড়ি। স্বামীর অনুনয়-বিনয়ের কারণে বাবার বাড়িতে দুই দিন থেকে ১৪ অক্টোবর আবার শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকতে বাবার বাড়ি থেকে বিসিএসের বইপত্রসহ সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে যান। চার দিন পর আবারও শামীমা বাবার বাড়ি ফিরেছেন, তবে লাশ হয়ে।

নিহত শামীমার খালা আসমাউল হুসনা মুনমুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই শামীমা লক্ষ্য ছিল সরকারি কর্মকর্তা হবে। ঝিনাইদহ কেশব চন্দ্র (কে সি) কলেজে থেকে গত বছর অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাস করে শামীমা। কিন্তু বিসিএসের প্রস্তুতিকালে বিয়ে হয়ে যায়। নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে নতুন করে আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সবই আজ শেষ।’

শাহাবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শামীমা খুবই অভিমানী ছিলেন। শামীমাকে কখনোই কোনো নির্যাতন করা হয়নি।’

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মূল কারণ জানা যাবে।

রাতদিন ডেস্ক/জয়-০১

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত