বিধিনিষেধ উঠতেই সরগরম দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পর্যটন স্পট কক্সবাজার। প্রায় পাঁচ মাস পর শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার সব বিনোদনকেন্দ্র। সৈকতে বসেই শোনা যাচ্ছে সমুদ্রের গর্জন। এদিন সকালে কম থাকলেও দুপুর গড়াতেই সরব হয়ে ওঠে সমুদ্রসৈকত। আশুরা ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারের বেশিরভাগ হোটেলের কক্ষ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধে প্রশাসনিক কড়াকড়ি কেমন তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন পর্যটকরা। তাই সকালে ফাঁকা থাকলেও দুপুর গড়াতেই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। সৈকতে কাজ করা সি-সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান জাগো নিউজকে বলেন, আগের মতো উপচেপড়া পর্যটক নেই। যারা এসেছেন তারা যে যার মতো হৈ হুল্লোড়ে ব্যস্ত। ঢেউয়ের তালে গা ভাসানো, বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, সূর্যাস্ত দেখাসহ আনন্দমুখর সময় পার করছেন তারা। সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী ও লাবণী পয়েন্টে কয়েক হাজার পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ায় সংশ্লিষ্টরা সন্তুষ্ট হলেও পরবর্তী লকডাউন আসছে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। ভয়ে আছেন ফের লকডাউন হলে লোকসানের পরিধি বাড়বে ভেবে।
অনলাইন ডেস্ক