যশোর ও ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাসচালক নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের নিহত চালকের নাম সোহাগ হোসেন (৩২)। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার লাখফোটিয়া গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), চন্দ্রনিমোহর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রিপন হোসেন (৩০), তেরখাদা উপজেলার মণ্ডলগাতি গ্রামের শামীম আহমেদের ছেলে মীর মোহাম্মাদ (৩৫), যশোর সদর উপজেলার জোতরহিমপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ছেলে ফরহাদ হোসেন কাজল (৩৪), চৌগাছার রায়নগর গ্রামের মন্টু মিয়ার স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৪২), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাজার এলাকার টুটুল হোসেন (৩৫), সাবজাল হোসেন (৪২) ও চা দোকানি আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)।
আহত রিপন হোসেন জানান, শুক্রবার দিগন্ত পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে যশোর আসছিলেন তারা। ভোর পৌঁনে পাঁচটার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের গাইদঘাটে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাতটা ৪০ মিনিটে বাসচালক সোহাগ হোসেনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, একইদিন সকাল সাতটার দিকে কালীগঞ্জ বাজারে আব্দুর রাজ্জাকের চায়ের দোকানে বসে সাবজাল হোসেন ও টুটুল হোসেন চা পান করছিলেন। ওই সময় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দোকানে ধাক্কা দেয়। এতে দোকানে বসে থাকা তিনজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাতদিন সংবাদ