রাজধানীর ভাটারায় মদ পানে জান্নাত (২২) নামে এক তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রিমা আক্তার ইমু (২৫) নামে আরও একজন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন। রিমাকে মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নাতিয়াপাড়া গ্রামের মো. হান্নান মিয়ার মেয়ে জান্নাত। রিমার বাড়ি একই জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়। তারা দুজন সম্পর্কে খালাতো বোন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মৃতের মামাতো বোন ইভা আক্তার ও রিমা বলেন, ‘রাব্বি নামে জান্নাতের এক বন্ধু মিরপুরের বাসিন্দা। থাকেন পুরান ঢাকায়। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সে মদের বোতল নিয়ে আসে আমাদের বাসায়। রাব্বি ও জান্নাত অর্ধেক পরিমাণ খেয়ে ফেলে। পরে আমাকে অফার করে, আমি প্রথমে খেতে চাইনি। তাদের চাপাচাপিতে একটু খাই। পরে আমার খারাপ লাগে, বমি করি। এ সময় আমি অসুস্থ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর আর কিছুই বলতে পারি না। বেলা ১২টার দিকে উঠে দেখি জান্নাত ঘুমাচ্ছে। রাব্বি কখন চলে গেছে জানতে পারিনি।’
রিমা আরও বলেন, ‘অসুস্থতা বেড়ে যাওয়া কারণে জান্নাতকে বলি, চল হাসপাতালে যাই। কিন্তু সে রাজি হয় না। পরে আমার এক বন্ধুকে ডেকে আমি টঙ্গী একটি হাসপাতাল যাই। সেখানে আমাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। জান্নাতের জন্যেও স্যালাইন নিয়ে আসি। বাসায় এসে তাকেও স্যালাইন দেওয়া হয়। এভাবে শুক্রবার কেটে যায়। শনিবার ভোরে দেখি জান্নাত কথা বলতে পারছে না। তার শরীর খুব খারাপ। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে এখানে সে মারা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার পার্লার ছিল। তা বিক্রি করে দিয়েছি। জান্নাত আমার সঙ্গে থাকতো। বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা।’
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি।
রাতদিন ডেস্ক/ জয়- ০৩







