যশোরের বিরামপুর কালীতলা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে বাবা ছেলেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ইউনুস (৩০) ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার সূত্রপাত দাম্পত্য কলহকে কেন্দ্র করে—এমন দাবি করছে উভয় পরিবার। আহত ইউনুস অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বাবা-মা। তিনি দাবি করেন, স্ত্রীকে নিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করাতে তার মা ও নানী নিয়মিত তাবিজ-কবজ করতেন। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও তিনি মায়ের কাছ থেকে ৬১টি তাবিজ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি প্রকাশ্যে মা–বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
অন্যদিকে, ইউনুসের মা তার ছেলের কথাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইউনুসের স্ত্রী বেপথে চলাফেরা করতেন এবং শ্বশুর–শাশুড়ির সঙ্গে অশালীন আচরণ করতেন। এমনকি তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন—যার কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং ঘরোয়া বিবাদ চরমে ওঠে। মায়ের দাবি, কয়েকদিন আগে পরিবারের ভেতরে থাকা এক নূপুর চুরির ঘটনায় তর্কের সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সে সময় উত্তেজনার এক পর্যায়ে ইউনুসের বাবা ইলিয়াস লাঠি হাতে ছেলের মাথায় আঘাত করেন, যাতে তার মাথা ফেটে যায়।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারটিতে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ, অভিযোগ–পাল্টা অভিযোগ ও পারিবারিক উত্তেজনা চলছিল। এবারের ঘটনা সেই বিরোধের চরম প্রকাশ।
ইউনুস বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারটির দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী বাবুল।
সাকিব হাসান







