ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানার একটি মামলা তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এই চক্রের নাম।
৩ ধাপে ভয়ঙ্কর প্রতারণা
এই প্রতারক চক্র তিন ধাপে প্রতারণার কাজ করে থাকে। প্রথম ধাপে প্রথম গ্রুপ বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র, আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে। তাদের এসব তথ্য দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয়।
অরুণার মোবাইলই নেই, কিন্তু সিম আছে, বিকাশ-নগদ আছে!
২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার। সেই মামলার তদন্তে গিয়ে আটক করা হয় অরুণাকে।
প্রতারক চক্রে মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তাও!
এই প্রতারক চক্রের দুই সদস্য চাকরি করেন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশেও! গ্রেপ্তার জোবায়ের ও সাব্বির বিকাশের ডিএসএস (ডিস্ট্রিবিউটর সেলস সুপারভাইজার) এবং মোক্তার হোসেন ও অন্তু দে ডিএসও (ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার)। তারা তাদের কাছে থাকা পাসওয়ার্ড এজেন্টের কাছে দিয়ে দেন। ফলে এজেন্ট সহজেই একাউন্ট খুলে ফেলতে পারে। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেওয়া মাসিক টার্গেট পূরণের জন্যই তারা এভাবে এই প্রতারক চক্রকে ‘সহযোগিতা’ করেছেন।
৫০ টাকার সিম ৫ হাজার টাকা!
সাধারণত একটি সিমের দাম ৫০ টাকা। ক্ষেত্রবিশেষে কিছু সিম ১০০ টাকায়ও বিক্রি হয়। কিন্তু এ প্রতারক চক্রের সিমের দাম ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে! তারা যে সমস্ত সিম প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে অন্য প্রতারক চক্রের কাছে। যেহেতু এসব প্রতারক চক্র জিনের বাদশাহ, বিকাশ ,নগদ প্রতারণাসহ অন্যান্য প্রতারণার কাজে এসব সিম ব্যবহার করে তাই তাদের কাছে এসব সিমের খুব চাহিদা। এসব সিম তারা এক হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে কেনে!
তারা কখনো জিনের বাদশাহ, কখনো পুলিশের এসপি!
প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত এসব সিম দিয়ে অনিকরা বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা কখনো জিনের বাদশাহ সেজে ফোন দেয়। কখনো পুলিশের এসপি সেজে মামলা থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়। আবার কখনো বিকাশ কিংবা নগদের কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা করে।
অনলাইন ডেস্ক/ জয়_৮
