মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে নাশকতার আশংকা ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশের অভিযানে ৩৯ জন আটক হয়েছে। শনিবার রাতে জেলার ৬ টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে ১৩ জন, কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ১১ জন, মহেশপুরে ৭ জন, কোটচাদপুরে ৫ জন ও হরিনাকুন্ডু থেকে ৩ জন। আটকৃতদের অনেকেই বিএনপি ও জামায়াতের নেতা, কর্মী বলে জানা গেছে।
এদিকে অভিযানে কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক ১১ জনের মধ্যে আশিক হোসাইন নামে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও আমানত আলী মোল্যা জনতা ব্যাংকের কর্মচারী বলে জানা গেছে। আটক অন্যরা হলেন- উপজেলার ফয়লা এলাকার খবির উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ কবির, আড়পাড়া এলাকার আলম হোসেনের ছেলে আশিক হোসাইন, একই এলাকার শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে জামাল উদ্দিন, বানুড়িয়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম, রাড়ীপাড়া এলাকার ইকরাম শেখের ছেলে তরিকুল ইসলাম, সুবর্ণসারা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মহিন উদ্দিন, একই এলাকার আনছার বিশ্বাসের ছেলে রমজান আলী, রামচন্দ্রপুর এলাকার গোলাম নবীর ছেলে রিপন মোল্যা, বড় ধোপাদী এলাকার মোস্তফা মোল্যার ছেলে রাসেল হোসেন, কুল্যাপাড়া এলাকার হেদায়েত মোল্যার ছেলে আমানত আলী মোল্যা ও ঝনঝনিয়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে তানজীল হোসেন।
জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ বারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। আটককৃত ১১ জনকে এই মামলার আসামি হিসেবে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর জানান, বারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। শনিবার রাতে তাদের অভিযানে আটক আরো ১১ জন সহ ওই মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সোহেল রানা ও মহেশপুর থানার ওসি শামিম উদ্দিন তাদের থানাতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।







