আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত দলে প্রতিহিংসাকারীদের ঠাঁই নেই। তাই অতীতের সব বিবেধ ভুলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে কোনো ভাগাভাগি চলবে না। তৃণমূলের শক্তিই শেখ হাসিনার প্রাণ। তাই যশোর আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং দেখতে চাননা তিনি। এ কারণেই সদর উপজেলা নির্বাচনে সব নেতার ভালোবাসার পাত্র দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ক্লিন ইমেজের নেত্রী নূরজাহান ইসলাম নীরাকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। অতীতের সব বিভেদ ভুলে এক ছায়াতলে থেকে জননেত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট নূরজাহান ইসলাম নীরাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ চোর-লুটতরাজদের দখলে চলে যায়। আগুন সন্ত্রাসের এ দলকে প্রতিহত করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর ও পৌর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বিএম মোজাম্মেল হক।প্রধান অতিথি বলেন, এদেশের মানুষের মুক্তি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দু’ দশকেরও দীর্ঘ সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। করোনায় বিশ্ব যখন টালমাটাল তখন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের সবকিছু স্বাভাবিক আছে। শেখ হাসিনার হাতে দেশ থাকলে মানুষ নিরাপদে থাকে।সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূরজাহান ইসলাম নীরা। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান চাকলাদার মনি,রোকেয়া পারভীন ডলি, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক কুমার বোস ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রওশন ইকবাল শাহী।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, হায়দার গণি খান পলাশ, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল খালেক, খয়রাত হোসেন ও আলী রায়হান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দীন, জেলা পরিষদের সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু, হাজেরা পারভীন, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনীর হোসেন টগর, ইউপি চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা খুশি, মশিয়ার রহমান সাগর, আলীমুজ্জামান মিলন, আব্দুল আজিজ বিশ্বাস, আব্দুল মান্নান মুন্না, আনিছুর রহমান, মোদাচ্ছের আলী, রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল, নাজনীন নাহার আলমগীর, লুৎফর রহমান ধাবক, সিরাজুল ইসলামসহ ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
রাতদিন সংবাদ






