সারারাত দুজনেই শারীরিক সম্পর্ক করেছেন তারা । কথা ছিলো সকালে বিয়ে করবেন । সেই কথা অনুযায়ী পৌরপার্কে বিয়ের সাজে দিনভর অপেক্ষা করেছেন তরুনী। কিন্তু আসেনি তরুন। এরপর আদালতে যেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ওই তরুনী। বৃহস্পতিবার শহরের বেজপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা বাদী হয়ে নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির অভিযোগ ওই নারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি রুবেল ইসলাম শহরের বেজপাড়ার ইউসুফ মোল্যার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবির হোসেন জনি।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ওই নারী শহরের একটি পার্লারে কাজ করেন। বাসায় আসা-যাওয়ার পথে রুবেল প্রায় তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করত। ১০ মাস আগে রুবেলের সাথে ওই নারীর কথা ও পরিচয় হয়। এরমধ্যে রুবেল মিষ্টি কথা ও বিয়ের প্রলোভল দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্মান্তিত করে এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই নানা তালবাহানা করে রুবেল।এক পর্যায় বিয়ে করবেনা বলেও জানিয়ে দেয় রুবেল। এরপর ওই নারী স্থানীয় কাউন্সিলরে নিকট যান। কাউন্সিলর দুইজনকে ডেকে রুবেলের পক্ষ নিয়ে তিনটি ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। গত ২৫ নভেম্বর রাতে রুবেল ওই নারীর বাসায় এসে ক্ষমা চেয়ে পরদিন সকালে বিয়ে করবে বলে রাত্রিযাপন করে। ওই রাতে তারা স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরদিন বিয়ের সাজে ওই নারী সারাদিন অপেক্ষা করে পৌর পার্কে। কিন্তু রুবেল আসেন নি এসনকি ফোনও রিসিভ করেন নি। শেষ মেষ ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন।
রাতদিন সংবাদ