হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ রাজস্ব বাজেটের আওতায় রবি,খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমের প্রকল্পে আন্তঃ পরিচর্যা বাবদ রাজস্ব খাতের কৃষকের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকার মধ্যে একশত করে কম দিয়েছিল কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস।
বিষয়টি প্রকাশ হবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহ স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এতেই টনক নড়ে কৃষি অফিসের। তড়িঘড়ি করে গত বৃহস্পতিবার থেকে কৃষকদের সেই কেটে রাখা একশত টাকা করে ফেরত দেওয়ার শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জের ২৪৩ জন প্রান্তিক কৃষকের ধান, সরিষা ও ভুট্টা পরিচর্যা বাবদ বরাদ্ধকৃত জনপ্রতি ১৫’শত টাকার বিপরিতে ১৪’শত টাকা করে বিতরন করেছিল কৃষি অফিস।
কালীগঞ্জ কৃষি অফিসের গার্ড মাসুদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি কর্মকর্তা তার নিকট টাকা দিয়ে নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের রনি টেলিকমের দোকানে পাঠায়। দোকানদার পর্যায়ক্রমে ২৪৩ জন কৃষকের মোবাইল একাউন্টে একশত টাকা করে সেন্ট করবেন।
রনি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী রনি জানান, কৃষি অফিসের মাসুদ ভাই তাকে টাকা দিয়ে গেছেন। ইতিমধ্যে সে একশত জন কৃষককের একাউন্টে টাকা পাঠিয়েও দিয়েছেন। এবং পর্যায়ক্রমে বাকি কৃষকদের টাকাও মোবাইলে দিবেন বলে জানান তিনি।
টাকা ফেরৎ পাওয়া উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সমির খাঁ ও হামিদ জানায়, তাদের মোবাইল একাউন্টে একশত করে টাকা এসেছে। এটি কৃষি অফিসের পূর্বের কম দেওয়া একশত টাকা বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিকদার মোহাম্মদ মোহাইমেন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, কৃষকদের জন্য বরাদ্ধকৃত ১৫ শত টাকার মধ্যে প্রথমে সব টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। যেটি ঘাটতি ছিল এখন তা পর্ষায়ক্রমে দেওয়া হচ্ছে।
আর কে-০৬







