সুজন হোসেন,কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে র্যাবের অভিযানে গণধর্ষন মামমলার প্রধান আসামীসহ দুই আসামীকে আটক করেছে র্যারের একটি দল।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার ৩নং পানির টাংকি পাড়ায় ভিকটিম এবং ভিকটিমের স্বামী একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার সময় একই এলাকার কালামের ছেলে শিমুল (৩০), আকামতের ছেলে আকাশ (৩০) সহ তাদের কয়েকজন সহযোগী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের বাসার দরজায় এসে ধাক্কাধাক্কী করার এক পর্যায়ে দরজা খুলে দেয়। তারা দলবদ্ধভাবে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের স্বামীকে জিম্মী করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত স্বর্ণের অলংকার ছিনিয়ে নেয়।
ভিকটিম এসময় বাধা দিলে আসামীরা ভিকটিমকে রুম হইতে বের করে নেয় এবং ভিকটিমের স্বামীকে রুমে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আসামীরা একই ভবনের তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে প্রধান আসামী শিমুল, আকাশসহ তাদের সহযোগীরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে গত শুক্রবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি ধর্ষন ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি সে সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকাট্রক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চা ল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিষয়ে ঝিনাইদহের র্যাবের দল তদন্ত শুরু করেন এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক অভিযানে নামে র্যাব-৭ এর একটি দল। তারা রাঙামাটি জেলার লংগদু থানার কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ি বনা লে দুর্গম এলাকায় প্রায় ১২ ঘন্টার দুঃসাহসীক শ্বাসরুদ্ধ অভিযান চালিয়ে রশিদপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী শিমুলকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে আটক শিমুলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে তার অন্যতম সহযোগী আসামী আকাশ ঝিনাইদহ সদর থানার হাটগোপালপুর এলাকায় অবস্থান করছে। এরপর আসামী শিমুলকে নিয়ে হাট গোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকাশকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল এবং আকাশ ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার অন্যান্য সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক আসামীদের ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।







