খুলনায় ধানক্ষেতে থেকে গলাকাটা নারীর বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধারের চার দিনের মাথায় প্রযুক্তির মাধ্যমে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব-৬ যশোর।জানা যায়,গত ২৫শে জানুয়ারী বিকালে ভিকটিম মুসলিমা খাতুন তার নিজ বাড়ি হতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।ঐ রাতেই ভিকটিমের মোবাইল থেকে তার বোনের মোবাইলে একটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, কতিপয় ব্যক্তিরা তাকে অজ্ঞাতস্থানে একটি বাগানে আটক করে রেখেছে। তারপর থেকে ভিকটিমের বোন ভিকটিমের আর কোন খোঁজখবর পায় নাই। পরবর্তীতে ভিকটিমের বোন খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন উত্তরদিহি মধ্যপাড়া সাকিনে শেখ মনির মেম্বারের বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে একটি গলাকাটা নারীর বিবস্ত্র মৃতদেহ পড়ে আছে বলে জানতে পারে। ভিকটিমের বোন আকলিমা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত লাশ তার বোন মুসলিমা খাতুনের লাশ বলে শনাক্ত করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বোন ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে,লেঃ কমান্ডার কোম্পানী কমান্ডার এম নাজিউর রহমান, র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোরের দুইটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর থানাধীন মালাঙ্গা সাকিনস্থ কানাইপুর বাজার হতে অভিযুক্ত আসামী খুলনা জেলার ফুলতলা থানার যুগ্নিপাশা গ্রামের মোশারফ খন্দকারের ছেলে রিয়াজ খন্দকার (২২) কে গ্রেপতার করেনএবং ইমন সরদার ওরফে সোহেলকে নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা য়ায়, তারা দুইজনেই পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম মুসলিমা খাতুনকে ধর্ষণ করে। অতঃপর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আলামত গোপন করার জন্য ধারালো বটি দিয়ে ভিকটিমের দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে। দেহ ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে। মৃত মুসলিমার পরিধেয় বস্ত্রাদি দিয়ে তার খন্ডিত মাথাটি পেচিয়ে পার্শ্ববর্তী নির্মানাধীন একতলা বিল্ডিং এর বাথরুমে বালুর নিচে পুতে রাখে। আসামীদের দেয়া তথ্য মতে উক্ত স্থান হতে ভিকটিমের মাথা ও পরিহিত বস্ত্রাদি উদ্ধার এবং আসামী রিয়াজের বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ও উদ্ধারকৃত আলামত খুলনা জেলার ফুলতলা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ







