মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বলসুন্দরী কুল চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাষী আবু বকর শেখ। মাত্র ৬৬ শতক জমিতে এ কুলের চাষ করে উর্পাজন করছেন লাখ লাখ টাকা। বাগান দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন এলাকার চাষী এবং উৎসুক জনতা। একজন সফল চাষী হিসেবে আবু বকর শেখ (৪৯) এখন এলাকার প্রিয় একটি মুখ।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের মৃত মোশারেফ শেখের ছেলে মোঃ আবু বকর শেখ একজন সফল চাষী। ৬৬ শতক জমিতে নতুন প্রজাতির ‘বলসুন্দরী’ কুল ফলের চাষ করে এখন গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। আর তার এ বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসছেন বিভিন্ন জেলার চাষী ও উৎসুক মানুষেরা।
কিনে নিচ্ছেন তারা বলসুন্দরী কুল ও গাছের চারা। আর ভালো ফলন দেখে এ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্য চাষীরাও। চাষী আবু বকর শেখ জানান, কুমিল্লা থেকে গত বছরে আনা এ বলসুন্দরী কুলের চারা থেকে বংশ বিস্তার করে এক হাজার চারা হয়েছিল এ বাগানে। পরে চারার ঘনত্ব কমিয়ে বাগানে রাখা হয়েছে ১শ’ ৫০ টি গাছ। বাকী গাছের চারা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাগানে থাকা এই দেড়শ’ গাছের প্র্রতিটি গাছে এখন এক থেকে দেড় মণ করে কুলের ফলন দেখা যাচ্ছে।
৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ফলন আসে এ গাছে। মৌসুমে ৩ মাস থাকে এ বড়ইয়ের উৎপাদন। গতবারের থেকে এবছরে তিনি আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করেন। এবারে সব খরচ মিটিয়ে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন। খুচরা ১৫০ টাকা এবং পাইকারি ১০০ টাকা কেজি দরে এ কুল কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি এ প্র্রজাতের পুরাতন প্রতি কলম ৫০ টাকা এবং নতুন কলম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । এ উপজেলার বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন পিরোজপুর, বরিশাল জেলার চাষীরাও এ গাছের কলম কিনে নিচ্ছেন এখান থেকে। বাগানটি পরিচর্যার জন্য ৫শ’ টাকা মজুরিতে ৩ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
এ ছাড়াও বাউকুল, কাশমেরী কুল ফলিয়েও সফল হয়েছেন তিনি। চাষী আবু বকরের নেশা-পেশা শুধু বাগান করা। বিভিন্ন ফলের ও ফুলের বাগান রয়েছে তার। বিভিন্ন প্র্রজাতির বড়ই, আম, পেয়ারা, পেপে, ছফেদা, লিচু বাগানসহ ১১টি ফলের বাগান রয়েছে তার। ২৪ বিঘা নিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত নার্সারির নাম ‘ আলিফ নার্সারি’।
পরিবারে বৃদ্ধ মাতা, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। এ বলসুন্দরী কুলের চাষ সহ এমন নার্সারী চাষে যুব সমাজকে এগিয়ে আশার আহবান জানান তিনি।







