বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৯৫ নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননায় সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়। গত মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে শরিফুল ইসলাম নামে জনৈক গ্রামবাসী এ আবেদন করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশব্যাপী যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে ঠিক তখনই গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলার বরইতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উত্তোলিত পতাকা ২০ ডিসেম্বর রাতেও দেখা গেছে উড়তে। নিয়ম অনুযায়ী সন্ধ্যার আগেই জাতীয় পতাকা নামাতে হবে। অথচ ওই স্কুলে টানা রাত দিন টানিয়ে রেখে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয় নানা দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় বুদ হয়ে থাকা এ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার তার স্কুলে দিন- রাত ২৪ ঘন্টা পতাকা উত্তোলন করে পতাকাকে অবহেলা এবং অবমাননা করেছেন।জাতির এ আবেগঘন মূহুর্তে পতাকা নিয়ে এ ধরণের অবমাননাকর কাজের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, উপজেলার ৯৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন ধরে দিনে এবং রাতে জাতীয় পতাকা উড্ডীয়মান থাকতে দেখা যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যায় পতাকা না নামিয়ে এভাবেই রেখে দেয়। ঘটনাটি কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে।
তারই ফলশ্রুতিতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদারের শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী।
এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন বুধবার সকালে ওই স্কুলে তদন্তে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবক, এলাকাবাসীর পৃথক পৃথক বক্তব্য গ্রহণ করেন। তদন্তে ওই ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তদন্তকালে সহকারী শিক্ষক সাধনা মল্লিক তার লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ২০ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে স্কুলে উত্তোলিত জাতীয় পতাকা নামিয়ে স্কুলে রাখেন এবং যা মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে অবহিত করেন। অপরদিকে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির হাওলাদার তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ওইদিন ৯ টায় স্কুলে যান এবং পৌনে ৪ টায় স্কুল থেকে আসেন এবং সঠিক সময়ে জাতীয় পতাকা উঠানো ও নামানো হয়।
দুজনার সাংঘর্ষিক বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির হাওলাদারের বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কারণ ওইদিন রাত ৮ টার দিকে সহকারী শিক্ষক সাধনা মল্লিককে এলাকাবাসী জাতীয় পতাকা নামাতে দেখে যার ভিডিও চিত্র এলাকাবাসীর কাছে পাওয়া যায়। সাধনা মল্লিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আরও জনান, ওইদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাড়ে ৯ টায় সকালে এসে স্বাক্ষর করে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।







