নড়াইলে রামপ্রসাদ সিংহ নামে এক ব্যক্তির নিকট হতে জোর পূর্বক ১ লাখ টাকা চাঁদা আদায় একটি সাদা চেক ও ৩শ’ ৫০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষর করিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বুধবার নড়াইল সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালি গ্রামের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্ত, সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের জুড়ালিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম, চাঁনপুর গ্রামের ইমরুল, বিষ্ণুপুর গ্রামের বুলবুল ও টিটুল। মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি মোস্তফা কামাল মোস্ত চাঁনপুর গ্রামে রামপ্রসাদের বাড়ির নিকট একটি পশু পালনের খামার করেছেন। কিন্তু কোন পশু পালন করেন না। মাঝে মধ্যে মোস্ত ওই খামারে যান এবং অন্য আসামিদের সহযোগিতায় রামপ্রসাদের জায়গাজমি ও বাড়ি ঘর জবর দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। মাঝে মাঝে বন্দুক ও লোহার রড দেখিয়ে ভয় দেখান। সম্প্রতি জোরপূর্বক বাড়ি ঘরসহ জায়গা জমি ঘিরে নেয়ার চেষ্টা করলে রামপ্রসাদ বাধা দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ ঘটনার জের ধরে আসামি ইমরুল ও টিটুল গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে রামপ্রসাদকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান মোস্তর খামারে। এরপর খামারে আটকে রামপ্রসাদকে বেদম মারপিট করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বাড়ি ঘরসহ সকল জমি লিখে দেয়ার জন্য হুমকি দেন। রামপ্রসাদকে দিয়ে বাড়িতে তার স্ত্রী হাসি সিংহর নিকট মোবাইল করিয়ে ব্যাংকের চেক বই নিয়ে নেন। এরপর আসামি হালিম ও বুলবুল জোরপূর্বক রামপ্রসাদকে অগ্রণী ব্যাংক, রূপগঞ্জ বাজার শাখায় নিয়ে যান এবং ৪৩৫৩৮৪৬ নং চেকে স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর করা চেক জমা দিয়ে ১ লাখ টাকা উত্তোলনের পর রামপ্রসাদকে নড়াইল জেলা জজ আদালত এলাকায় স্ট্যাম্প বিক্রেতা মাসুদুর রহমানের দোকানে নিয়ে যান। সেখান থেকে রামপ্রসাদের নামে ৩শ ৫০ টাকার স্ট্যাম্প ক্রয় করেন। যার বই ক্রমিক নং ২৭০৬। স্ট্যাম্পের নং ০৮১৮৪০৮, ০৮১৮৪০৯, ০৮১৮৪১০ ও ৩৬৮৭১০১। আসামিরা আবারও রামপ্রসাদকে মোস্তর খামারে নিয়ে ওই স্ট্যাম্প গুলিতে স্বাক্ষর নেন। আসামি হালিম চেক বই হতে আরেকটি ফাঁকা চেকের পাতা জোরপূর্বক ছিড়ে নেন। যার নং ৪৩৫৩৮৪৭। এসব ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও তার পরিবারের সকলকে খুন করার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন আসামিরা। এ ঘটনার পর থেকে রামপ্রসাদ ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
নড়াইল প্রতিনিধি







