সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় অসাধু সারের ডিলারদের কারসাজিতে বেশি দামে সার বিক্রয়ের কারণে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলায় বেশ কিছুদিন যাবত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশী মুল্যে সার বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। উপজেলার ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও নির্বাক। সকল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তারা যদি প্রতি ইউনিয়নের সার মনিটরিং করত তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হত বলে ভ’ক্তভোগী কৃষকরা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সার ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে সারের যে বরাদ্দ তা প্রয়োজনের তুলনায় আনেক কম। চাহিদা মোতাবেক সার না থাকায় লোহাগড়া উপজেলায় সার সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় উপজেলা ও জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। তা নাহলে সাধারন কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভুক্তভোগী কৃষক কুমড়ি গ্রামের নুরকান মিয়া, সারোল গ্রামের বুলু, দিঘলিয়া গ্রামের কিবরিয়া, কুমড়ি গ্রামের মোস্তফা, কঞ্চনপুর গ্রামের মিঠু ও নেওয়াখোলা গ্রামের শিক্ষক অবু ব্ক্কর সহ ২৫/৩০ জন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার সকল সারের ডিলাররা নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে আমাদের নিকট থেকে সারের মুল্য বেশী নিচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, ইউরিয়া সারের সরকারি মূল্য প্রতি কেজি ১৬ টাকা, টিএসপি সার ২২ টাকা, ডিএপি সার ১৬ টাকা এবং এমওপি সার ১৫ টাকা। অথচ ডিলাররা সব ধরনের সারের মূল্য সরকার নির্দ্ধারিত মূল্যেও চেয়ে প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি নিচ্ছে। লোহাগড়া উপজেলায় ১ টি পৌরসভাসহ ১২ টি ইউনিয়নে ডিলার ১৩জন। এরা নিজেদের ইচ্ছেমত মূল্য নির্দ্ধারন করে সার বিক্রি করছে। উপজেলার হাবিবুল্লাহ নামে এক ডিলার ও তার আতী¡য়-স্বজন সহ ৪জন ডিলার। মুঠো ফোনে হাবিবুল্লাহ ডিলার বলেন, আমি বিধি মোতাবেক লাইসেন্স করেছ্ িসার উত্তোলন করে বিক্রি করছি। লোহাগড়া বজারের সার ডিলার ভুন্ডুল, জয়পুর বাজারের নুর ইসলাম, মরন মোড়ের ওহিদুল, কাঠাল তলার জিয়াউর, এড়েন্দা বাজারের মানিক, কলাগাছি বাজারের নারায়ন, পাচুড়িয়া বাজারের ইমরুল দিঘলিয়া বাজারের লিটন সাহা, মানিকগঞ্জ বাজারের হায়াতুর রহমান বলেন, আমাদের নিকট থেকে সারের মুল্য বেশী নেওয়ায় উচ্চ মুল্যে সার বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কোন ডিলার সাংবাদিকদের ক্রয় মেমো দেখাতে পারেন নাই। এবিষয়ে কয়েকজন ডিলার বলেন, আমারা সারের যে বরাদ্দ পাই তা সুসম বন্টন করা সম্ভব হয়না। লোহাগড়া কৃষি অফিসার মোঃ রইচ উদ্দিন বলেন, আমি শুনেছি খুচরা দোকানিরা উচ্চ মুল্যে সার বিক্রি করছে। বর্তমানে যে সার সংকট তার একমাত্র কারন সারের গোডাউন পরিবর্তনের কারনে সঠিক সময় সারের যোগান দিতে পারে নাই। তিনি আরও বলেন, মাছের ঘেরের জন্য আমাদের কোন বরাদ্দ নেই। ঘের মালিকগন প্রচুর পরিমানে সার বাবহারের কারনে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।







