মোহাম্মদ মুছা একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক। যিনি তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার আস্থা ও ভালোবাসায় স্থান করে নিয়েছিলেন। বিএনপির ত্যাগী নেতা ছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের এককাতারে আনতে নিরলস চেষ্টা করে গেছেন তিনি। মোহাম্মদ মুছা ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম নেতা। আজ তার এই স্মরণসভা করতে আমরা মোটেও প্রস্তুতি ছিলাম না। শুধু আমরা নয়, মোহাম্মদ মুছার মৃত্যুতে দেশনায়ক তারেক রহমানও ব্যতিত।
মনিরামপুর উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত মোহাম্মদ মুছার স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম এ কথা বলেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াতে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপি সাবেক সহসভাপতি গোলাম রেজা বুলু, যশোর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল বারী রবু, রবিউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিবুল রহমান সাগর, যশোর আইনজীবী। সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি, পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, খান শফিয়ার রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সন্তোষ স্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মরহুমের পুত্র শাহিনুর রহমান, মঈনুল ইসলাম, যুবদলের সাইদুর রহমান, মুক্তার হোসেন, ছাত্রদলের অলিয়ার রহমান, ইউনুস আলী জুয়েল, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর ভোরে যশোরের একটি বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ মুছা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এছাড়া তিনবার ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।






