হাফিজুল নিলু, নড়াইল: বিশ্ববরেণ্য কৃতিমান চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় নড়াইলের সুলতান কমপ্লেক্সে এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল জেলা প্রশাসন, সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নড়াইল প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিল্পীর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন সিকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম আব্দুল হক, সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ লাবলু, সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জী প্রমুখ।
শ্রদ্ধাঞ্জলির পর তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় শিল্পীর বাসভবনে কোরআন খতম, সকাল ৮টায় শিশুস্বর্গে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পরে শিশুস্বর্গে শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। তাঁর আঁকা ছবি প্রদর্শিত হয়েছে ভারতের সিমলা, পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে।
তাঁর শিল্পকর্ম ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা পান।
তাঁর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে নড়াইলে নির্মিত হয়েছে এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর দীর্ঘ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাঁকে সমাহিত করা হয়।







