মেগাসিটির আলো ঝলমলে ক্যামেরার বাইরে বাংলাদেশের হাজারো গ্রামে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এমন সব ঘটনা, যা দেশের সামগ্রিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। আর এই ঘটনাগুলো তুলে ধরতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, তারা হলেন গ্রামীণ সাংবাদিকরা—তাঁরা কোথাও নিয়োগপ্রাপ্ত নন, কিন্তু দায়িত্বে অনড়।
বড় শহরের কেন্দ্রিক গণমাধ্যম যখন জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি আর ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত, তখন গ্রামীণ সাংবাদিকরা দেখছেন একটি ইউনিয়নে রাস্তা ভেঙে পড়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ নেই, কৃষকের ধান ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হচ্ছে না, কিংবা কোন একটি প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথমবারের মতো একজন মেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে।
এই গল্পগুলোই আসল বাংলাদেশ—যা তুলে আনা হচ্ছে গ্রামের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠা স্থানীয় সাংবাদিকদের কলমে, ক্যামেরায়, আর কখনো মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে।
গ্রামীণ সাংবাদিকদের জন্য নেই বড় অফিস, নেই নির্ভরযোগ্য বেতন। একমাত্র সম্বল হচ্ছে সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা। অনেক সময় তাঁদের হুমকি-ধমকি, সামাজিক চাপে পড়তে হয়। তবু তাঁরা থেমে যান না।
তারা জানেন, একটি সঠিক খবর কখনো শুধু খবর থাকে না—তা হতে পারে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হওয়ার কারণ, জনগণের চোখ খোলার মাধ্যম, কিংবা একটি নির্যাতিত মানুষের সাহস ফিরে পাওয়ার উপায়।
বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গ্রামীণ সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করছে বিশাল সুযোগ।
“রাতদিন নিউজ” নিজেই এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে স্থানীয় সংবাদ হয়ে উঠছে জাতীয় আলোচনার অংশ। মোবাইল, ইন্টারনেট আর জনগণের আস্থা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের গণমাধ্যম কর্মী, যারা একদিকে সাংবাদিক, আবার অন্যদিকে তথ্যযোদ্ধা।
সত্যিকারের সাংবাদিকতা মানে শুধু রিপোর্ট করা নয়, এটি হল ভাষাহীনদের ভাষা হয়ে ওঠা, গণতন্ত্রের রক্ষক হিসেবে কাজ করা, এবং বিকল্প ভবিষ্যতের পথ দেখানো।