নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদে সরকারি জমি থেকে ১০৯টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান, বেসরকারি সংস্থা প্রশিকার কর্মকর্তা ও স্থানীয় যুব সংঘের সদস্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১ মে সদর থানায় মামলাটি করেন শাহাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মশিউর রহমান (মামলা নম্বর ২৫/২০২৫)। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, প্রশিকার এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাবউদ্দিন এবং প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি ও আরও ১০ সদস্য।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের পাশে মেহগনি ও আম গাছ লাগানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৯ সালের আগে এসব গাছ কাটা বা বিক্রির কোনো অধিকার ছিল না।
তবে সম্প্রতি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন সংযোগ লাইনের কাজে গাছগুলো বাধা হওয়ায় প্রশিকা, ইউপি চেয়ারম্যান এবং প্রভাতী যুব সংঘের সদস্যরা গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করেন। কিন্তু ইউএনও কার্যালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, “রাস্তাটি ২০১৫ সালেই সরকারি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেখানে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ইতোমধ্যে কাটা গাছের কিছু অংশ জব্দ করা হয়েছে। গাছ বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, “আমরা ইউএনও বরাবর আবেদন করেছিলাম, সিদ্ধান্ত না আসার আগেই অন্যরা গাছ কেটেছে।”
অন্যদিকে, প্রশিকার কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন দাবি করেন, “চেয়ারম্যানের কথায় কিছু শুকনো ডালপালা বিক্রির অনুমতি দিয়েছিলাম। গাছ কে কেটেছে জানি না।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছ বিক্রির নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউপি সদস্য ইব্রাহিম শেখ, যিনি এখন ঘটনার স্বাক্ষী বলেও দাবি করছেন।







