নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে স্ত্রী হামিদা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী ইব্রাহিম মোল্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মোল্যা মাগুরা জেলার মাগুরা গ্রামের আ. জব্বার মোল্যার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান জিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ২২ বছর আগে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হামিদা বেগমের সঙ্গে ইব্রাহিম মোল্যার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল।
হত্যার দুই বছর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ইব্রাহিমসহ অন্য আসামিরা হামিদা ও তার মেয়েকে মারধর করে, যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে হামিদার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।
এরইমধ্যে ইব্রাহিম মোল্যা লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামের কুলসুম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং হামিদাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
২০০৯ সালের ৮ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশে গরু বাঁধতে গেলে হামিদাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলে দেয়া হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ১০ জুলাই সকালে ইব্রাহিমের দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুম বেগম বাড়ির পাশের কাজলা নদীতে দেশীয় অস্ত্রবিদ্ধ অবস্থায় হামিদার মরদেহ দেখতে পান।
পরবর্তীতে নিহতের ভাই রেজাউল ইসলাম নড়াইল সদর থানায় ইব্রাহিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আদালত ইব্রাহিম মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডিত করেন এবং বাকি আসামিদের খালাস দেন।
