Sunday, April 27, 2025

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপের ২০ দেশের বৈঠক

ইউক্রেনে সরাসরি সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় বসেছেন ইউরোপের ২০টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগ্‌যুদ্ধ এবং বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার ঘটনা বিশ্ব দেখেছে।

এরপর ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সভাপতিত্বে শুক্রবার (২১ মার্চ) লন্ডনের নর্থউডে আয়োজিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকর হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নজর রাখা হবে।

বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন যদি যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘন করেন, তবে এর পরিণতি গুরুতর হবে।

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো হবে কি না, এমন প্রশ্নে স্টার্মার বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সামরিক পরিকল্পনা সঠিক দিশাতেই এগোচ্ছে।”

তিনি মনে করিয়ে দেন, চলতি মাসের শুরুতেই ঋণনীতি শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করতেই ওই বাড়তি অর্থ ব্যয় করা হবে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশ গত তিন বছর ধরে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ট্রাম্প সহযোগিতা কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ার পর, ইইউ সেই সহায়তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ৬ মার্চ ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র এক যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইইউ ১৫ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা) ঋণ নেবে, যার বড় অংশ ইউক্রেনের সামরিক সহায়তায় ব্যয় হবে।

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আমেরিকার দেওয়া ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এরপর গত বুধবার জেলেনস্কি ট্রাম্পকে ফোন করে যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা করেন।

আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও দুই দেশের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনলাইন ডেস্ক

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর