ইরান ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে। দেশটির এলিট ফোর্স ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ কমান্ডার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডমিরাল তাংসিরি জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্মার্ট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে। আগামী বছর এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, আইআরজিসি এবং বাসিজ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় ইরানের ২,২০০ কিলোমিটার উপকূলরেখাকে সুরক্ষিত রাখা হবে। ইরানের উপকূলীয় অঞ্চলের উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় এসব নৌ সরঞ্জাম পার্বত্য এলাকার নিচে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষ বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমার সাহায্যে সেগুলো ধ্বংস করতে না পারে।
এর আগে, ইরান যে হাইপারসনিক মিসাইল উন্মোচন করেছিল, তা মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম। গত বছরের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-১’ অভিযানে ব্যবহৃত ইরানি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পুরোপুরি প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম।
এবার ইরানের কদর এবং এমাদ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে আয়রন ডোম। ইসরায়েলের মিত্ররা ইরানের উৎক্ষেপিত শত শত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করতে পাল্টা মিসাইল নিক্ষেপ করে। তবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২’ এ ব্যবহৃত ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি।
উল্লেখ্য, অধিকৃত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত বছর ইরান দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। আইআরজিসি দাবি করেছে, তাদের নিক্ষিপ্ত ৯০ শতাংশ মিসাইল নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৩