এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর দরবারে এসে বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল! আমাকে সংক্ষেপে নসিহত করুন।’ তখন নবীজি (স.) তাকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দেন, যা এক সুখময় ও শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। হাদিসটি সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, যা মুস্তাদরাকে হাকেমসহ অনেক হাদিসগ্রন্থে এসেছে।
১. মানুষের হাতে যা আছে, তা থেকে নিরাশ হও: অন্যের সম্পদের দিকে লোভ দৃষ্টি না রেখে, একমাত্র আল্লাহর রহমতের ওপর নির্ভর করতে হবে। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘বলুন, আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন অথবা সংকুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’ (সুরা সাবা: ৩৬)
২. লোভ করবে না, কারণ লোভই নগদ দারিদ্র্য: যারা লোভ করে না, তারাই প্রকৃত ধনী। হাদিসে এসেছে, ‘অভাবমুক্তি ও প্রাচুর্য সম্পদের আধিক্যের কারণে হয় না; বরং প্রকৃত প্রাচুর্য হলো অন্তরের প্রাচুর্য।’ (সহিহ বুখারি: ৬৪৪৬; সহিহ মুসলিম: ১০৫১)
৩. নামাজ এমনভাবে আদায় করবে, যেন এটি তোমার শেষ নামাজ: জীবনের শেষ নামাজ হিসেবে নামাজ পড়লে স্বাভাবিকভাবেই খুশু-খুজু বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনরা। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-নম্র।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
৪. এমন কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবে, যার জন্য পরে ক্ষমা চাইতে হয়: হাদিসে এসেছে, বারবার ক্ষমা চাওয়ার মতো ভুল না করাই উত্তম। তবে অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে ক্ষমা চাওয়াও একটি উত্তম গুণ।
এই চারটি নির্দেশনা মেনে চললে জীবনে সফলতা ও প্রশান্তি আসবে। মানুষের প্রতি লোভ না রেখে, আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হওয়া, অন্তরের প্রাচুর্য অর্জন, মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়া এবং এমন কাজ না করা যাতে ক্ষমা চাইতে হয়—এসবই একটি সঠিক ও শান্তিময় জীবনযাপনের মূলমন্ত্র।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নবীজির (স.) এই নসিহতগুলো গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ধর্ম ডেস্ক/আর কে-০৫







