শবে মেরাজ বা মেরাজের রাত ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। হিজরতের আগে এই রাতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে বিশেষ ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। জিবরাঈল (আ.)-এর নেতৃত্বে রাসূল (সা.) এক রাতে মক্কা থেকে ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস, সেখান থেকে সাত আসমান, জান্নাত ও জাহান্নাম ভ্রমণ করেন। এই সফর শেষে আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপহার দেন।
মুসলমানদের জন্য শবে মেরাজ একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ রাত। এটি মহান আল্লাহর সৃষ্টিকর্মের এক মহৎ নিদর্শন। তবে ইসলামের মূল শিক্ষার ভিত্তিতে এই রাতে নির্ধারিত কোনো ইবাদত বা আমল করার প্রমাণ পাওয়া যায় না।
শবে মেরাজ উপলক্ষে অনেকেই নফল নামাজ আদায় করেন বা নফল রোজা রাখেন। কিন্তু আলেমদের মতে, এই রাতে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত বা রোজার বিধান কোরআন-হাদিসে নেই। নবীজী (সা.)-এর জীবনে কিংবা সাহাবাদের আমলে শবে মেরাজ উপলক্ষে কোনো বিশেষ ইবাদতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মুসলমানরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কোনো ভালো কাজ বা নেক আমল করতে পারেন। তবে এই রাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত বা রোজা শরিয়তের অংশ নয়। শবে মেরাজ উপলক্ষে আমল করতে চাইলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ বা দোয়া করা যেতে পারে।
আলেমরা বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন যে, শবে মেরাজ উপলক্ষে কোনো নতুন ইবাদত বা রীতিনীতি শুরু করা উচিত নয়। ধর্মীয় বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং কোরআন-সুন্নাহর নির্ভরযোগ্য পথ অনুসরণ করাই উত্তম।
শবে মেরাজ ইসলামের এক মহৎ ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি আল্লাহর অপার কুদরত ও রাসূলের (সা.) প্রতি তাঁর অনন্য দয়ার পরিচায়ক। তবে এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির জন্য শরিয়তে নির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। তাই মুসলমানরা সাধারণ ইবাদত ও নেক আমল করে এই রাতকে যথাযথভাবে স্মরণ করতে পারেন।
ধর্ম ডেস্ক/আর কে-০৮







