চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতের হিমালয়ের পাদদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮৮ জন। চীনা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে। স্থানীয় সময় বুধবার ভূমিকম্প-পরবর্তী দ্বিতীয় দিনেও উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। খবর রয়টার্স।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, মঙ্গলবার রাতেই দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, খাদ্য, বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রসহ অন্যান্য জরুরি সরঞ্জাম। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোও পুনরায় চালু করা হয়েছে।
তিব্বত চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং এটি নেপাল ও উত্তর ভারতের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে গঠিত চিংহাই-তিব্বত মালভূমি ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত সক্রিয় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্র জানায়, মঙ্গলবারের প্রধান ভূমিকম্পের পর থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫০০টিরও বেশি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৪ মাত্রার পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে ভূমিকম্প কেন্দ্রের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজ এখনও চলছে এবং দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।







