রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতি রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন বিষয়ে আরও সুসংহত পদক্ষেপের উপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ।
নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ আহ্বান জানান।নাইজারে ২৭ নভেম্বর দুদিনব্যাপী ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৭তম কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইসউফউ।সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ইসলামোফোবিয়ার বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকরভাবে জড়িত হওয়ার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত ওআইসির সদস্য দেশগুলোর জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা, অর্থনীতি পুনর্নির্মাণের জন্য সদস্য দেশসমূহের আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর জন্য মানবিক সহায়তার উপর জোর দেন।ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে কোনো ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করা নয়। মহাসচিব আরও বলেন, আমরা ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের নিন্দা জানাই।এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো-শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হওয়া’।মহাসচিব বলেন, সন্ত্রাসবাদ এই অঞ্চল ও বিশ্বব্যাপী এক অন্যতম বিপজ্জনক হুমকি। তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য গাম্বিয়াকে সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
এছাড়া সম্মেলনে আরো যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ ও রিয়াদ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক। সম্মেলনে বাংলাদেশ ২০২১-২৩ সালের জন্য ওআইসির ফাইন্যান্স কন্ট্রোল অর্গান (এফসিও) এর সদস্য হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছে যা ওআইসির সচিবালয়ের বাৎসরিক বাজেট অডিট করবে।
অনলাইন ডেস্ক







