নামাজ-রোজাসহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোর জন্য নিয়ত করা জরুরি। নিয়ত আরবি শব্দ। যার অর্থ, ইচ্ছা বা সংকল্প। আর ইচ্ছার স্থান হচ্ছে অন্তর। তা মুখে উচ্চারণ করার বাধ্যবাধকতা নেই। অন্তরের দৃঢ় সংকল্প ও ইচ্ছা করার নামই হলো নিয়ত।
নামাজের জন্য নিয়ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন যেই নামাজ আদায় করা হবে, তখন সেই নামাজের জন্য নিয়ত করা জরুরি। তবে কখনো যদি এমন হয় যে, এক ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের জন্য দাঁড়ানো হয়েছে, কিন্তু নিয়ত করার সময় ভুলে অন্য ওয়াক্তে কথা বলে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়ে একজন প্রশ্ন করেছেন—
‘কখনো এমন হয় যে আমি জোহরের নামাজের নিয়তে জায়নামাযে দাঁড়াই। কিন্তু তাকবীরে তাহরিমার সময় মুখে চলে আসে, মাগরিব বা ইশার কথা। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী? ওই নিয়তেই নামাজ শেষ করব নাকি নতুন করে আবার নিয়ত করতে হবে?
এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন—
নিয়ত মূলত অন্তরের সংকল্পের নাম। তাই জোহরের নামাজের সময় অন্তরে যদি জোহরের কথাই থাকে কিন্তু মুখে ভুলবশত অন্য ওয়াক্তের কথা চলে আসে তাতে অসুবিধা হবে না। এক্ষেত্রে জোহর নামাজই আদায় হবে।
কিন্তু যদি মুখে ভুল উচ্চারিত হয় আর অন্তরে কিছুই স্থির না থাকে বা মুখে যা উচ্চারণ করছে সংকল্পেও তা থাকে তবে মুখেরটাই ধর্তব্য হবে। সেক্ষেত্রে ওয়াক্তের ফরজ আদায় হবে না। তাই তা পুনরায় আদায় করতে হবে।
(রদ্দুল মুহতার ১/৪১৫)
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৬







