হ্যারি টেক্টর তখনও রানের খাতা খোলেননি, কিন্তু রুবেল হোসেনের হাত ফসকে বেঁচে যান সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই ব্যাটার। শুধু ফিল্ডিংয়েই নয়, বল হাতেও ছন্নছাড়া ছিলেন খুলনা টাইগার্সের এই পেসার। ১৯তম ওভারে ২৪ রান দেওয়া রুবেল দুই ওভার করে খরচ করেন ৩৬ রান! রুবেলের ওই ক্যাচ মিস এবং শেষ ওভারে তার খরুচে বোলিংয়ে মূলত খুলনার হাত থেকে ম্যাচটি ফসকে যায়। তার এলোমেলো পারফরম্যান্সের সুযোগ নিয়ে সিলেট নিজেদের তৃতীয জয় নিশ্চিত করে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগের মতো ছয়েই আছে তারা। খুলনা ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল খুলনা। জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা টেক্টরকে ফেরাতে পারতো খুলনা। কিন্তু সুমন খানের বলে সহজ একটি ক্যাচ মিস করেন বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামা রুবেল। জয় থেকে ১৯ রান দূরে থাকতে টেক্টর আউট হন। তার আগে জয়ের পথটা পরিষ্কারই করে দিয়ে যান এই ওপেনার। জীবন পাওয়া টেক্টর ৫২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ৬১ রানের ইনিংসটি সাজান।
শেষ ১২ বলে সিলেটের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। কিন্তু ৩ ছক্কা আর এক চারে রুবেলকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এক ওভার আগেই দলকে জেতান রায়ান বার্ল। ১৬ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। খুলনার বোলারদের মধ্যে মার্ক ডেয়াল ১৯ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সুমন খান ও নাহিদুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫৪ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় খুলনা টাইগার্স। তিন উইকেট হারানোর পাশাপাশি স্কোরবোর্ডে রান রেটও ভালো অবস্থানে ছিল না এনামুল হক বিজয়ের দলের। সেখানে থেকে হাবিবুর রহমান সোহানকে নিয়ে অধিনায়ক বিজয় ৬৭ বলে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। যদিও শেষ ৫ ওভারের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই মূলত সিলেটকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। শেষ ৫ ওভারে ৬৭ রান তোলেন বিজয়-হাবিবুর জুটি। ৫৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় এনামুল ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। এছাড়া হাবিবুর ৩০ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ৪৩ রানের ইনিংস। সিলেটের বোলারদের মধ্যে সানজামুল ইসলাম, বেনি হাওয়েল ও সামিত প্যাটেল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
-অনলাইন ডেস্ক







