Saturday, December 6, 2025

বিপিএলে প্রথম জয় পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স

বিপিএলে টানা পাঁচ হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। শুক্রবার দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ছিলেন না দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। রাজনৈতিক ব্যস্ততায় আপাতত টুর্নামেন্ট থেকে বিরতি নিয়েছেন। কঠিন পরিস্থিতিতে দলের অধিনায়ককে হারিয়েও মনোবল হারায়নি সিলেট। ভাষার মাসে সবুজ রঙের বিশেষ জার্সি পরে হারের বৃত্ত ভেঙেছে গতবারের রানার্সআপরা। এদিন আগে ব্যাটিং করে ঢাকাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সিলেট। সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি ঢাকা। ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থেমেছে। তাতে ১৫ রানের দারুণ জয়ে হারের বৃত্ত ভেঙেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছে সিলেট। মাশরাফির বদলে দায়িত্ব পালন করা নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। জবাবে খেলতে নেমে রিচার্ড এনগারাভার বোলিং তোপে পড়ে ঢাকা। এই জয়ে সাত নম্বর থেকে ছয় নম্বরে উঠে গেছে সিলেট। ঢাকা নেমে গেছে সিলেটের জায়গায়!

১৪৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে সিলেটের মতো শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। নিজের প্রথম ওভারে এনগারাভা তুলে নেন সায়েম আইয়্যুবের (১৩) উইকেট। জিম্বাবুয়ের পেসার খুব বেশি সময় নেননি অপর ওপেনারকে ফেরাতেও। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন নাঈম শেখকে (২)। এরপর সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স রসের মধ্যে ৩১ রানের জুটি হলেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষ দিকে তাসকিন ও উসমান কাদিরের ৩৫ রানের জুটিতে ১২৭ রান করতে পারে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। তাসকিন ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। এটাই ছিল ঢাকার ইনিংসে সর্বোচ্চ।

সিলেটের বোলারদের মধ্যে এনগারাভা ৩০ রান খরচায় নেন চারটি উইকেট। এছাড়া রেজাউর রহমান রাজ দুটি উইকেট শিকার করেন। নাঈম হাসান ও বেনি হাওয়েল নেন একটি করে উইকেট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছিল সিলেট। মাত্র ১৩ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তোলা কঠিন ব্যাপারই। কিন্তু সেই কঠিন পথটা সহজ হয়ে যায় নেতৃত্ব পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনের কল্যাণে। তার ৫৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের ওপর ভর করে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দিতে পারে সিলেট।

ইনিংসের প্রথম ওভারে পঞ্চম বলে দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের আগুনে বোলিংয়ে রানের খাতা খোলার আগেই স্ট্রাইকার্স ওপেনার শামসুর রহমান শুভ (০) সাজঘরে ফিরে গেছেন। দুই ওভার পর এবার অফফর্মে থাকা নাজমুল হোসেনকে শিকার করেন বাঁহাতি এই পেসার। পরের বলেই জাকিরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভবনাও তৈরি করেছিলেন শরিফুল। শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। তবে ১৩ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে সিলেটকে ঠিকই কোণঠাসা করতে পেরেছিলেন।

শুরুর এই চাপ শেষ পর্যন্ত বহাল রাখতে পারেনি ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে সামিট প্যাটেলের সঙ্গে ৫৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন মিঠুন। দুর্দান্ত এই জুটিতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াই করার পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিক দল। দলীয় ৭০ রানে প্যাটেলকে (৩২) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মিঠুন আউট হন সিলেটের শেষ ব্যাটার হিসেবে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে। ৪৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন সিলেট অধিনায়ক। এই সময় আরিফুল ইসলামের ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস ভূমিকা রেখেছে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে শরিফুল ২৪ রান খরচায় শিকার করেন চারটি উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানি দুটি এবং তাসকিন আহমেদ ও ওসমান কাদির একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর