মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সুবিধাপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করে উন্নয়নের এ ধারা বজায় রাখতে হবে।
বিকাল ৩ টায় উপজেলার সেলিমাবাদ কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সারাদেশে ৮ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় এনেছেন। মোরেলগঞ্জ উপজেলায়ও সোয়া লাখ পরিবারের মধ্যে ৯০ হাজার পরিবার কোন না কোন ভাতার অন্তর্ভুক্ত।”
সম্মেলনে উপস্থিত উপকারভোগীদের তিনি প্রশ্ন করেন, “আপনারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ কিনা?” জবাবে হাত উঁচু করে সমস্বরে সবাই হ্যাঁ সূচক জবাব প্রদান করেন।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মোশারফ হোসেন, মোরেলগঞ্জ পৌর মেয়র এ্যাড. এস.এম মনিরুল হক তালুকদার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, অতীতে এদেশে অনেক সরকার ছিলো, কিন্তু এই রকম করে ১০ কেজি চাল, ২০ কেজি চাল এবং ৪০ দিনের কর্মসূচি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মৎস্য ভাতা, আরো অনেক ভাতা, এতো ভাতা অতীতে কোনো সরকার দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষ নিয়ে পরিকল্পনা করেন তাদের কল্যাণে কাজ করেন।
তারা আরো বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার তিনি মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষকে সম্মান করেন, মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারে তার জন্য তাদের পাশে সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দেন। এটি অন্য কোনো সরকার করেননি। যে সরকার এই কাজটি করে, অবশ্যই তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারকে আগামীতে সরকার পরিচালনার জন্য টিকিয়ে রাখতে পারি, তাহলে তিনি সারাদেশের মানুষের জন্য যত উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ করছে, সেই কর্মযজ্ঞ অব্যাহত থাকবে।
সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম তারেক সুলতান উপকারভোগীদের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ৫ হাজার উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন।
