বিশেষ প্রতিনিধি:- যশারের অভয়নগর উপজলায় ছুটির দিনে গোপনে মাদ্রাসার গাছ কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠছে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ।
শুক্রবার সকালে অভয়নগর উপজেলার হিজবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার মাঠে রোপন করা দুইটি মেহগনি গাছ গোপনে বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার বুইকরা এলাকায় হিজবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার দুইটি মেহগনি গাছ মাদ্রাসা সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান গত মঙ্গলবার বিক্রি করে দেয়।
শুক্রবার ছুটির দিন সকালে গাছ ব্যবসায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গাছ দুইটি কাটতে আসলে এলাকাবাসী গাছ কাটতে বাধা দেয়। এরমধ্যে একটি গাছ কাটা হয়ে যায় এবং অন্য গাছটির ডালপালা কাটা হয়। এলাকাবাসী বাধা দিলে শ্রমিকরা তাদের কথা না শুনে গাছ কাটতে থাকলে তারা উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়। উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষা কর্মকর্তাক বলে গাছ কাটা বন্ধ কর দেয়।
মাদ্রাসার পাশের বাড়ির আব্দুল খালেক বলেন, ছুটির দিন গাছ কাটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তাই আমরা বাধা দিলে গাছকাটা শ্রমিকরা জানায় সুপারের নিকট থেকে গাছ দুটি কিনেছি। এরপর আমরা ইউএনও এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকর নিকট অভিযাগ দিয়েছি। আব্দুল মানান বলন, এই মাদ্রাসার সুপার এর আগে মাদ্রাসার ইট ও বেঞ্চ গোপনে বিক্রি করে দিয়েছিল। তাই শুক্রবার গাছ কাটায় আমাদর সন্দেহ হয়।
গাছ ব্যবসায়ী শুকুর আলী বলেন, আমি সুপারের কাছ থেকে গাছ দুটি কিনেছি। এতে সমস্যা আছে জানলে আমি কিনতাম না। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার প্রয়োজনে গাছ দুটি বিক্রি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা জানত চাইলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
মাদ্রাসার সভাপতি রেজাউল হাসন বিশ্বাসকে (০১৭১১৩৫০৬০৮ নম্বর ফোন) কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মা: শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি গাছ কাটতে বারণ করেছি।
উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আবু নওশাদ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমি শুনছি। এ ব্যাপার শিক্ষা কর্মকর্তাকে গাছ কাটা বন্ধ করে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
রাতদিন-সংবাদ:-
- Advertisement -