মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ আনছার ভিডিপির যশোর জেলা কমান্ডারের উপস্থিতিতে মণিরামপুর উপজেলা প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আনছার সদস্য যাচাই বাছাই সম্পন্ন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের আনসার ভিডিপি সদস্যরা উক্ত মাঠে হাজির হয়। সকাল এগারোটার দিকে আনছার সদস্যদের পিটি প্যারেড শেষে যশোর জেলা আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জেলা কমান্ড্যাণ্ট সঞ্জয় কুমার সাহা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এর পর পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন ওয়ারী আনছার সদস্যদের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করেন। ১১ ইউনিয়ন থেকে আগত উপস্থিত ১৯৪৩ জন আনছার সদস্যদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে ১৫৬০ জনকে রাখেন। উল্লেখ্য গত শনিবার উপজেলার বাদবাকী ৬ ইউনিয়নের আনছার ভিডিপি সদস্যদের যাচাই বাছায়ে ৪৩৫ জনকে রেখেছিলেন। আসছে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন শৃংখলার দায়িত্ব পালনের জন্য মোট ১৯৯৫ জন আনছার সদস্যকে তালিকা ভুক্ত করেছেন। এ ছাড়াও আরো কিছু সদস্যকে ওয়েটিং তালিকায় রেখেছেন বলে কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে। যাচাই বাছাই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, যশোর সদর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা অনন্ত কুমার ঘোষ, মণিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা, উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন, উপজেলা প্রশিক্ষিকা শেখ ফাতেমা সিনহা প্রমুখ।
অর্থ লেনদেনের বিষয়ে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত আবুল কালাম, আবুল হোসেন মনা, রাহাদ আলী, মোশাররফ হোসেন সহ একাধিক ইউনিয়ন কমান্ডারের নিকট জানতে চাইলে তারা বিষয়টি সত্য নয় দাবী করেন।এবং তাদের সম্মান ক্ষুন্ন করতে একটি চক্র গুজব ছড়িয়েছে মাত্র যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সম্প্রতি নির্বাচনী ডিউটি প্রদানে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে এক প্রশ্নে জেলা আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কমান্ড্যাণ্ট সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন,বাছাই কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে কিভাবে অর্থ লেনদেন হয় সেটা বোধগম্য নয়।তবে যারা এই ধরনের কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়বে এবং লিখত অভিযোগ আসলে অব্যশই তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাবস্থ গ্রহন করা হবে।তবে এসংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো আমার নিকট আসেনি।