তিন লাখ ঘুষ নিয়ে বারোবাজার ডিগ্রি কলেজে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে একই কলেজের এমএলএসএস তাসলিমা আক্তার শামিমার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল ভুক্তভোগী যশোর সদর উপজেলার মুরাদগড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে লিমা খাতুন ওই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামির বিরুদ্ধে সমনজারীর আদেশ দিয়েছেন।
আসামি তাসলিমা আক্তার শামিমা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহি গ্রামের মফিজুর রহমানের স্ত্রী।
বাদী মামলায় বলেছেন, আসামির সাথে তার পূর্ব পরিচয় রয়েছে। আসামি বারোবাজার ডিগ্রি কলেজে এমএলএসএস কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পদে চাকরি করেন। একই পদে এরা একজন দক্ষ লোক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বাদীকে জানায়। বাদী বেকার থাকায় ওই চাকরি করতে আগ্রহী প্রকাশ করেন। এসময় আসামি ওই কলেজের অধ্যক্ষকে দিয়ে চাকরি দিয়ে দিতে পারবেন এবং তার বিনিময় তিন লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে জানান। এরপরে ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর ৮০ হাজারসহ মোট ৬টি কিস্তিতে আসামি শামিমাকে তিন লাখ টাকা দেন। এরপরে আজ না কাল করে চাকরি না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন শামিমা। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল আসামি শামিমাকে বাদীর বাড়িতে ডেকে এনে স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চাকরি দিতে হবে অথবা টাকা ফেরৎ চান লিমা খাতুন। এসময় চাকরি দিতে বা টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেন শামিমা।
-রাতদিন সংবাদ