Monday, April 29, 2024

সাতক্ষীরায় পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ

- Advertisement -

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি- সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে এবার পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়ার আশায় স্থানীয় কৃষকরা। এবার সফলতা পেলে উপকূলীয় এলাকায় অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়বে।

এবারই প্রথমবারের মত এই অঞ্চলে সূর্যমুখীর আবাদ হচ্ছে। খাজরা ইউনিয়নে সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত ৫জন সূর্যমুখী ফুলচাষির মধ্যে প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল ও নলীনি রঞ্জন মন্ডলের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, প্রায় এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। স্বল্প সার আর পরিচর্যায় গাছগুলো এরইমধ্যে বড় হয়ে গেছে। কিছু কিছু গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।

প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল জাগো নিউজকে জানান, ‘এবার সরকারি সহায়তায় এক বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। গাছের বয়স আড়াই মাস। কিছু গাছে ফুল এসে গেছে। বাকি গাছগুলোতে কুঁড়ি এসেছে। আর একমাস পরে পরিপক্ব বীজ সংগ্রহ করতে পারব বলে আশা করছি। বীজ, চাষ, সার, কীটনাশকসহ সব মিলিয়ে এক বিঘা জমি আবাদ করতে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচের তুলনায় এ ফসলের চাষে লাভ বেশি হবে আশা করছি। তবে তিনি অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন, সরকারি সহায়তায় বীজ পেয়েছি কিন্তু অন্য কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।’

এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসের খাজরা ব্লকের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবু জাফর বলেন, ‘এবছর সরকারি কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে ৫ জন কৃষককে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। লবণাক্ত এই এলাকায় ফলন ভালো হলে আগামীতে আরও কৃষক এ চাষে আগ্রহী হবে। এই এলাকায় পর্যাপ্ত মিঠা পানির উৎস না থাকায় চাষাবাদ ব্যাহত হয়। খাল খননের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা গেলে অনেক জমি নতুন করে চাষের আওতায় আসবে।’

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত