এবার এক সাংবাদিকের দ্বিখন্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বগুড়ার আদমদীঘিতে মনজুরুল ইসলাম নামে ওই সাংবাদিকের মরদেহ বুধবার রাতে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরইল বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত মনজুরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের কাগজের আদমদীঘি উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের মরহুম মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে পুলিশ জানায়, মনজুরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে তার এক আত্মীয়কে পাশের দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়িতে পৌছে দিতে যান। সেখান থেকে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন সড়কের ওপর মনজুরুলের দ্বিখন্ডিত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এবং পুলিশে খবর দেন। তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশেই পড়ে ছিল।
আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে সাংবাদিক মনজুরুলের দ্বিখন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য সেটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে, মনজুরুলের কোমরের অংশ দ্বিখন্ডিত অবস্থায় ছিল। বড় কোনো গাড়ির চাকার চাপে শরীরের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওসি বলেন, ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের স্বজনেরা তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে তারা হত্যা মামলা করতে চান।
আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখন্ডিত হয় না। এছাড়া তার শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তাই এটি দুর্ঘটনা ছিল বলে আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান তিনি।
রাতদিন সংবাদ
